৪ কিলোবাইট র‍্যাম দিয়ে চাঁদে?

চিন্তা করে দেখুনতো! আপনার পকেটে থাকা ৪জিবি র‍্যামের স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে চাঁদে যাওয়ার মত একটি মিশন পরিচালিত হচ্ছে। শুনতে অবাক লাগছে? লাগারই কথা! এত বড় একটি মিশন পরিচালনা করার মত সামর্থ্য বর্তমানের কোন স্মার্টফোনেই নেই। তবে ভবিষ্যতে কি হবে তা কে জানে!

Samiulpro.com

ভবিষ্যতে এমনটা হোক বা না হোক, অতীতে কিন্তু এর থেকেও অবাক করা একটি ঘটনা ঘটে গেছে...
বলছি "এপোলো মিশনের" কথা। জুলাই ২০, ১৯৬৯ সালের সেই মিশনের মধ্য দিয়েই মানুষ প্রথমবারের মতন চাঁদের বুকে পদচিহ্ন এঁকেছিল। সেই মিশনে ব্যবহারিত "The Apollo Guidance" কম্পিউটারে ছিল মাত্র  ৪ কিলোবাইট র‍্যাম এবং মাত্র ৭২ কিলোবাইট হার্ড ডিস্ক। 

Apollo 11 Lunar Module

৬০ এর দশককে প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনায় এক টার্নিং পয়েন্ট বলা যেতে পারে।  পূর্ববর্তী কম্পিউটার এবং ইলেকট্রনিক সার্কিটগুলি তাদের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য ভ্যাকুয়াম টিউবগুলির উপর নির্ভর করত। কিন্তু ৬০ এর দশক থেকেই মুলত আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের অধিকতর উৎপাদন দেখতে পাওয়া যায়। 

The Apollo Guidance কম্পিউটারের ছিল ৪ কিলোবাইট র‍্যাম এবং ৭২ কিলোবাইটের একটি হার্ড ডিস্ক। তখনকার সময় বিবেচনায় এই কম্পিউটারটি বেশ কম্প্যাক্ট ছিল। এর পরিমাপ ছিল ৬০সে.মি. x ৩০সে.মি. x ১৫সে.মি.। এর ওজন ছিল প্রায় ৩০ কেজি।  যদিও বর্তামানে এই কনফিগারেশন নিতান্তই হাস্যকর এবং অবিশাস্য মনে হয়, কিন্তু এপলো ১১ এর মত একটি মিশন পরিচালনা করতে এটি যথেষ্ট ছিল।

    The Apollo Guidance Computer
  • কিন্তু কিভাবে ?
এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য কোডগুলিকে হাতে অপটিমাইজ করা হয়েছিল যতটুকু ছোট করা সম্ভব ততটুকু। র‍্যামের সেল গুলিকে কোঠর পর্যবেক্ষনের মধ্য রাখা হয়েছিল,  যখন এটি নিশ্চিত হয়েছিল যে দুটি প্রক্রিয়া একসাথে পরিচালিত হবে না, তারা মেমরি ভাগ করে নিল।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়! শুধু মাত্র একটি কম্পিউটারই এই মিশনটি পরিচালনা করতে যথেষ্ট ছিলনা।

স্যাটার্ন ভি লঞ্চার, অ্যাপোলো কমান্ড মডিউল, অ্যাপোলো সার্ভিস মডিউল এবং লুনার ল্যান্ডার, কেপ কেনেডি তে লঞ্চ সুবিধা, হিউস্টনের ম্যানড স্পেসক্র্যাফট কেন্দ্র এবং উত্তর আমেরিকা এবং গ্রুমম্যানের মতো প্রচুর সংখ্যক ঠিকাদার এবং সাবকন্ট্রাক্টর। উদ্ধার কাজের জন্য মার্কিন নৌবাহিনী জাহাজ এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। 
বস্তুত, ১৯৬৯ থেকে ২০২০, গত ৫২ বছরে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে এবং কম্পিউটিং পাওয়ারে এক আমুল পরিবর্তন এসেছে। একটু পিছিয়ে চিন্তা করলেই দেখা যায়যে, কয়েক বছর আগেও স্মার্টফোন ছিল হত কিছু মানুষের কল্পনা, অথত আজ সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন। ঠিক তেমনি আজ থেক ৫০ বছর পর হয়ত এমন সব প্রযুক্তি আসতে যাচ্ছে, যেগুলো হয়ত হলিউড সিনেমাতেও দেখা যায় না।

ভালো লাগলে পোষ্টটি শেয়ার করে এরকম আরো পোষ্ট দিতে উৎসাহিত করবেন আশা করি।  

আমাদের গ্রুপ লিংকঃ Deshi Designers || দেশী ডিজাইনার্স


Samiul Azim
Samiul Azim

Thanks for Reading My Post. I Often Write Graphic Design and Motion Graphic Related Articles. I Also love to write about Technology. Writing is my Passion. I love to Meet People as i want to buildup a big Community. I think, Having a sense of community unites us. Being a part of a community can make us feel as though we are a part of something greater than ourselves. It can give us opportunities to connect with people, to reach for our goals, and makes us feel safe and secure. It's important for every person to have a sense of community. So Make sure to meet Me on Social Media. I Am eagerly waiting to Meet You.

No comments:

Post a Comment